বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল-ডাল

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: মাসখানেক আগে চাল ও ডালের বাজার অস্থির হয়ে ওঠলে দাম নিয়ন্ত্রণে তোড়জোড় শুরু করে সরকারি তদারকি সংস্থাগুলো। এতে তখন চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা কমলেও আসেনি ক্রেতার নাগালে। সেই বাড়তি দামে এখনও চাল ও ডাল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা, ভালো মানের নাজিরশাইল ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা, নিম্নমানের নাজিরশাইল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা, আটাশ ৫০ থেকে ৫২ টাকা, স্বর্ণা (গুটি) ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও স্বর্ণা (পাইজাম) ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া, প্রতি কেজি চিকন মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা, মুগডাল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, ডাবলি ডাল ৮০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৮০ টাকা, ছোলার ডাল ১১০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, মাশকলাইর ডাল ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা মোশাররফ হোসেন বলেন, এ দেশে কোনো কিছু একবার দাম বাড়লে সেটি আর কমে না। চালের দাম বাড়ার সময় ৫-৬ টাকা বেড়েছে। আর কমার সময় কমেছে ১-২ টাকা। গত প্রায় এক মাস থেকে এমন বাড়তি দামেই স্থিতিশীল আছে চালের বাজার। যাদের টাকা আছে তাদের এই দামে কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু যাদের টাকা নেই নিম্নবিত্ত তারা সমস্যায় আছে। এটা আমরা বুঝি। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নেই। মিল থেকে দাম কমালে আমরা কমাতে পারি, নইলে তো আমরা চাইলেই কমদামে চাল বিক্রি করতে পারি না।

মো. মঈন উদ্দিন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, চালের বাজার স্থির আছে। দাম এখন আর বাড়বে না। তবে যদি দেশের বাইরে থেকে চাল আমদানি করা হয়, তাহলে দাম কিছুটা কমতে পারে। নইলে আগামী বৈশাখ পর্যন্ত দাম এমনই থাকবে। রমজান ঘিরে দাম আর বাড়ার আর শঙ্কা নেই। রমজানে চালের দাম বাড়ে না।

রাজধানীর রাজাবাজারের মুদি দোকানি মো. খোকন বলেন, নির্বাচনের সময় ডালের দাম বাড়ে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মুগডালের দাম। কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে যায়। এছাড়া মসুর ছাড়া বাকি ডালও ১০-২০ টাকা দাম বাড়ে। এরপর আর কমেনি। এখনো সেই দামই আছে। ডালের দাম এখন আর বাড়বে কিনা বলতে পারছি না।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডাল আমদানি করতে হয়। ডলারের দাম বাড়ার কারণে ডালের দামও বেড়েছে। তবে গত এক মাস ধরে বাজার স্থিতিশীল আছে। ডালের দাম কমেওনি, বাড়েওনি।